• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

গরমে ঘামাচি থেকে বাঁচুন

প্রকাশ:  ২১ মে ২০১৯, ০০:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

গরমে নিয়মিত গোসল করা দরকার। এ সময় অস্বস্তি, ঘাম ও ঘামাচি, পানিশূন্যতা থেকে ঘন ঘন পিপাসা, ক্লান্তি, গায়ে দুর্গন্ধ, রাতে ঘুম না আসসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

নিয়মিত গোসল : গরমে প্রচুর পানি পানের পাশাপাশি নিয়মিত সাবানসহ গোসল করলে এবং ঠান্ডা পরিবেশে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিলে এগুলোর অনেক কিছু থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। সুযোগ থাকলে পুকুরের পানিতে বা সুইমিংপুলে গোসল করতে পারলে অনেক ভালো। অল্পতেই শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার ও ঠান্ডা হয়। ভোরের পানি শীতল থাকে। তাই গোসলের শীতল পরশ পেতে হলে এ সময়টা বেছে নেয়া যায়।

রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে আরেকবার গোসল করতে পারলে ভালো ঘুম হয় এবং তা শরীরের জন্যও ভালো। গরমে গোসল করলে অল্পতেই অনেকটা ক্লান্তি দূর হয়ে যায়, ত্বক পরিষ্কার থাকে, ঘামাচিসহ বিভিন্ন চর্ম সমস্যা প্রতিহত হয়, পানিশূন্যতা কমে গিয়ে চামড়ায় সৌন্দর্য বাড়ায়, চুল পড়া কমে ও ভালো ঘুম হয়।

আরামদায়ক পোশাক : ঘামাচি প্রতিরোধের জন্য দরকার সুতির হালকা রঙের আরামদায়ক পোশাক পরা, প্রয়োজনে একাধিকবার পরিচ্ছন্ন ঠান্ডা গোসল, কায়িক শ্রম যথাসম্ভব কম করা ও শীতল পরিবেশে সময় কাটানো। এ ব্যাপারে ইলেকট্রিক ফ্যানের বাতাস অনেক সময় আমাদের সঙ্গী হিসেবেই থাকে।

সাবানসহ গোসল : সামান্য সাবানসহ গোসল করতে পারলে চামড়ায় ঘাম ও ময়লার প্রলেপ উঠে গিয়ে ঘামাচির বিরক্তিকর সমস্যা অনেকটা হ্রাস পায়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্যালকম পাউডার, ক্যালামিন লোশন ও স্টেরয়েড ক্রিমও ব্যবহার করা যেতে পারে। এসি রুমে কয়েক রাত কাটাতে পারলে ঘামাচি অনেকটা উপশম হয়।

গরমে নবজাতক বা ছোট শিশুর খুব সহজেই ঘামাচি হতে পারে। এ সময় বাসার ভেতরে ঠান্ডা পরিবেশে থাকা দরকার। তাছাড়া ঘরে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল (ventilation), গায়ে হালকা সুতির কাপড়, প্রয়োজনীয় দুধ বা পানি পান, চামড়া শুকনো রাখা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যাপারে যত্নবান হওয়া উচিত।