• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

তিনদিনের বৃষ্টিতে কচুয়ায় ৬শ’ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত

প্রকাশ:  ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ফসলি জমি। এতে ৬শ’ হেক্টর রবি শস্যের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সোফায়েল হোসেন। ফলে স্থানীয় বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক কৃষকরা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়। এমতাবস্থায় সরকারের কাছে সাহায্য দাবি করেছেন তারা।
উপজেলা কৃষিঅফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১২শ’ ২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শস্য আবাদ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১শ’ ১০ হেক্টর শীতকালীন সবজি, ৯ হেক্টর মরিচ, ১শ’ ৪৯ হেক্টর সরিষা, ৩শ’ হেক্টর আলু, ৯ হেক্টর গম এবং ২৩ হেক্টর বোরো ধানের বীজতলাসহ মোট ৬শ’ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে গেলে উপজেলার বায়েক, সাচার, বারৈয়ারা, বিতারা, পালাখাল, চৌমুহনী, জলা তেতৈয়া, গুলবাহার, কাদলা ও ডুমুরিয়া ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ধানের আগাম বীজতলা, আলু, সরিষা, মুসুর, আলু, ধনিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি ক্ষেত।
উপজেলার বায়েক গ্রামের কৃষক শাহআলম জানান, এবার শাকসবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ছিলো। কিন্তু হঠাৎ তিনদিনের বৃষ্টিতে তার স্বপ্ন মাটির সাথে মিশে গেছে। তিনি ২শ’ ৫০ শতক জমিতে আলু চাষ করেন। জমিতে পানি জমে থাকায় সব আলু পচে গেছে। তিনি পুনরায় আবাদ করা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক করিম, আবদুল্লাহ, রাসেল, মহিন ও রফিক বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তারা এবার মাঠে ২ হেক্টর আলু, ৩ হেক্টর মরিচ, ৫ হেক্টর গম, ৬ হেক্টর বোরো বীজতলাসহ শীতকালীন অন্য সবজি আবাদ করে। ৩ দিনের টানা বৃষ্টির পানি জমে থাকায় প্রায় ৯০ ভাগ ফসলই নষ্ট হয়ে গেছে। তারা আরো জানান, তারা ক্ষুদ্র কৃষক। বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আবাদ করেছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সোফায়েল হোসেন বলেন, কৃষকের আগাম আলু ও শাক-সবজি ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে ফসলের যে ক্ষতি তা অপূরণীয়। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ নিয়ে কাজ করছেন। তবে কৃষকরা যাতে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেন সেজন্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ভর্তুকির দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।