• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্বল্পদৈর্ঘ্য দেশীয় যাত্রাপালা নির্মাণ কর্মসূচির আওতায়

চাঁদপুরে আলোমতির প্রেমকুমার মঞ্চস্থ

প্রকাশ:  ০৬ মার্চ ২০১৯, ০৯:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্বল্পদৈর্ঘ্য যাত্রাপালা নির্মাণ কর্মসূচির আওতায় ৬৪ জেলার ন্যায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির রেপার্টরি নাট্যদলের পরিবেশনায় যাত্রাপালা আলোমতির প্রেমকুমার মঞ্চস্থ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ শওকত ওসমান। জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ মোঃ আয়াজ মাবুদের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের দেশে সংস্কৃতির উন্নয়ন আরও করতে হবে। সাংস্কৃতিক কর্মকা- যদি উন্নতি করা না হয় তাহলে আমাদের দেশের যুব সমাজ মরণব্যাধি মাদকে আসক্ত হয়ে যাবে। আর যারা সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে জড়িত থাকে তারা বিপথগামী হবে না। তিনি বলেন, যাত্রা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এটি গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য। এই হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে জাগিয়ে রাখতে সরকার সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে ভূমিকা রাখছে। যাত্রা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের দেশের সংস্কৃতির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এই শিল্পের আরও সমৃদ্ধ ঘটাতে হবে। আমাদের দেশের সংস্কৃতিকে যারা ধরে রেখেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। একটি সংস্কৃতি উর্বর জেলা চাঁদপুর। আমরা চাঁদপুরের সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালনা করতে পারছি।
    আলোমতি প্রেমকুমার যাত্রাপালার মূল প্রতিপাদ্য হলো ধনী-গরিবের বৈষম্য। নাটক সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের অন্যতম অনুষঙ্গ। বাঙালি সংস্কৃতির চিত্র ঐতিহ্যের মেলবন্ধন যে মাধ্যমটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল, তাহলো বাংলা নাটক। আর যাত্রাপালা তার প্রধান একটি মাধ্যম। তৃণমূল পর্যায়ে থেকে সর্বক্ষেত্রে বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য রক্ষা ও প্রসারের লক্ষ্যে এবং হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও কৃষ্টিকে পুনরায় উজ্জীবিত করার জন্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশের ৬৪ জেলায় স্বল্পদৈর্ঘ্য দেশীয় যাত্রাপালা নির্মাণ করছে। এরই অংশ হিসেবে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনায় কালজয়ী যাত্রাপালা আলোমতি প্রেমকুমার। আলোমতি প্রেমকুমার তেমনি একটি গ্রাম বাংলার প্রেমগাথা যাত্রাপালা। এই যাত্রাপালার মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়েছে ‘সভার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’। প্রেম ও ভালোবাসার টানে ধনী-গরিবের মধ্যে যে বিবাদ বিরোধ সৃষ্টি তার একটি নিদর্শন এই আলোমতি প্রেমকুমার যাত্রাপালা।
    নাটকটির প্রযোজনায় ও উপদেষ্টা ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী সদস্য শহীদ পাটোয়ারী, রূপালী চম্পক ও অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরণ। সার্বিক সমন্বয়কারী ছিলেন চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ মোঃ আয়াজ মাবুদ। আলোমতি প্রেমকুমার যাত্রাপালায় অভিনয় করেছেন মোঃ হারুন রশিদ ডাক্তার, রাজিব দাস, প্রণয় ম-ল, গোবিন্দ ম-ল, আসমা আক্তার, সপ্তমী দত্ত, পরিমল দাস নূপুর, ধ্রুব দেবনাথ ও সুশান্ত সাহা। যন্ত্র সংগীতে ছিলেন অজয় চক্রবর্তী, মিজানুর রহমান, গোলাম হোসেন, রশীদ চৌধুরী ও জগদীশ দাস। আলোক পরিকল্পনা ও আবহ সংগীতে ছিলেন কার্তিক সরকার, মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন জাকারিয়া বতু ও আজিজুল হাকিম। যাত্রাপালার নির্দেশনায় ছিলেন গোবিন্দ ম-ল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী সদস্য রূপালী চম্পক।
    প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ শওকত ওসমানকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন নির্বাহী সদস্য অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরণ। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়–য়া, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি তপন সরকার, চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সদস্য সচিব ইয়াহিয়া কিরণ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা ও চতুরঙ্গের মহাসচিব হারুন আল রশীদ, বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরী, বর্ণমালা থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম প্রমুখ।