• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মতলবে মাদ্রাসা শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছাত্র হাসপাতালে

প্রকাশ:  ০১ এপ্রিল ২০২১, ১৩:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মতলব দক্ষিণে মাদ্রাসা শিক্ষকের বেত্রাঘাতে হেফজ বিভাগের এক ছাত্র মারাত্মক জখম হয়েছে। গতকাল ৩০ মার্চ বেলা ১২টায় মতলব পৌরসভার চরমুকন্দি দারুল কোরআন হাফেজিয়া ও নূরাণী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিয়াইশ গ্রামের মোঃ নবীর হোসেনের ছেলে মোঃ আশেক এলাহী (১৬) মতলব পৌরসভার চরমুকন্দি দারুল কোরআন হাফেজিয়া ও নূরাণী মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের ছাত্র। গত ৩০ মার্চ বেলা ১২টার দিকে মাদ্রাসার শ্রেণীকক্ষে প্রতিদিনের ন্যায় ছাত্রদের ক্লাস নিচ্ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মোঃ রাকিব হোসেন। ওই সময় মোঃ আশেক এলাহী মুখস্থ পড়া দিতে দেরি করলে শিক্ষক রাকিব হোসেন তাকে এলোপাথারি বেত্রাঘাত করে মারাত্মকভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরে আহত অবস্থায় আশেক এলাহী মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে আসে। বাড়িতে আসার পর শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে বাবা-মা তাকে স্থানীয় নারায়ণপুর গ্রীনলাইফ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত আশেক এলাহী জানান, আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষক রাকিব হোসেন ক্লাসে পড়া দিতে দেরি করায় আমাকে সকল ছাত্রের সামনে জালি বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে আমি মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে আসি। আমার বাবা ও মা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাকিব স্যার আমাকে মারার পর বলেছে, যদি কারো কাছে বলি তাহলে আবারও আমায় মারবে। তাই ভয়ে আমি পালিয়ে বাড়ি চলে আসি।
আহত আশেক এলাহীর বাবা মোঃ নবীর হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে যে শিক্ষক বেত্রাঘাত করেছে আমি তার বিচার চাই।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পরিচালক মোঃ শরীফুল্লাহ পাটোয়ারী বলেন, ঘটনার সময় আমি মাদ্রাসায় ছিলাম না। পরবর্তীতে জানতে পেরে আহত ছাত্রকে দেখতে আসি। তবে আমার সকল শিক্ষককে নির্দেশনা দেয়া আছে যে, কোনো ছাত্রকে যেন বেত্রাঘাত না করে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আমি বহিষ্কার করবো এবং ছাত্রের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ ওই শিক্ষককে বহন করতে হবে।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মোঃ রাকিব হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই কোনো বক্তব্য নেয়া যায়নি।

 

সর্বাধিক পঠিত