• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মাস পার হলেও শিশু ধর্ষক জামাল আজও গ্রেফতার হয়নি!

প্রকাশ:  ১৫ অক্টোবর ২০২০, ২২:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কচুয়ার সহদেবপুর ইউনিয়নে সম্পর্কের দাদা কর্তৃক দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মাস পেরিয়ে যাচ্ছে অথচ ধর্ষণকারী জামাল মিজি (৬০)কে আজও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
শিশুটির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খিলমেহের গ্রামের অধিবাসী জামাল মিজি একই বাড়ির তার সম্পর্কের নাতনি (৮)কে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে ললিপপ খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে ঘরে এসে তার মাকে ঘটনা জানালে তাকে দ্রুত কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি দেখে ওইদিন রাত ১১টার দিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ আসিবুল আহসান নিশ্চিত করেন। এছাড়াও গাইনি ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা সেবিকা কোহিনুর বেগমও ধর্ষণের শিকার শিশুটির নমুনা সংগ্রহের পর ধর্ষণের আলামত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে শিশুটির পিতা বারেক মিয়া কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৪। গত ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর জেলা আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের মাধ্যমে ২২ ধারায় শিশুটির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। ধর্ষণের খবর শুনে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্থা দীপায়ন দাস শুভ ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৃণালিনী কর্মকার শিশুটির বাড়িতে গিয়ে শিশুর মুখ থেকে ঘটনার বিবরণ শোনেন এবং আইনের আওতায় এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আশ^াস প্রদান করেন।
এদিকে শিশুটির মা মাহমুদা বেগম ধর্ষক জামাল মিজির পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিদিনই তাদেরকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে বলে দাবি করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কচুয়া থানার এসআই মামুন জানান, আমি কয়েকদিন হয়েছে মাত্র কচুয়া থানায় যোগদান করেছি। মামলাটি আমার উপর ন্যস্ত করা হলেও চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে শিশুটিকে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে সে রিপোর্ট এখনো পাইনি। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরই মামলার কার্যক্রম শুরু করবো।
এদিকে ধর্ষণের প্রায় মাস পেরিয়ে যাচ্ছে অথচ ধর্ষক জামাল হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় এলাকাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

 

সর্বাধিক পঠিত