• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

পশ্চিম সকদী কমিউনিটি ক্লিনিকে ডাক্তার আসেন না ॥ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা

প্রকাশ:  ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১২:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চিকিৎসা সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্যে সরকার চালু করেন কমিউনিটি ক্লিনিক। আর সেই কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে রোগীরা। চিকিৎসকের নিজের ইচ্ছেমতো পরিচালিত হচ্ছে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের পশ্চিম সকদী কমিউনিটি ক্লিনিক (হাসপাতাল)। এতে করে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা।
গত কদিন আগে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন নারী তারা নিজের ও শিশুদের সমস্যা নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে এসে কয়েক ঘন্টা বসে রয়েছেন। কেউ কেউ অপেক্ষার প্রহর গুণতে গুণতে চলে গেছেন বলেও অনেক রোগীরা জানান। এই ক্লিনিকের জন্যে নিয়োগকৃত চিকিৎসক ডাঃ ফিরোজ ক্লিনিকের পাশের বাড়ির একজন মহিলার কাছে চাবি রাখেন। সেই মহিলা প্রতিদিনের মতো সকালে কমিউনিটি ক্লিনিকটি খুলতে ভুল করেন না। তিনি সরকারি ছুটি ও বন্ধের দিন ছাড়া প্রতিদিনই কমিউনিটি ক্লিনিকটি খুলে থাকেন। কিন্তু ডাঃ ফিরোজের দেখা মিলে না। এছাড়া ক্লিনিকে কর্মরত আইরিনকেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। ক্লিনিকের ভেতরে কয়েকজন রোগী চিকিৎসকের অপেক্ষায় বসে থাকলেও চিকিৎসকের কক্ষে তালা ঝুলতে দেখা যায়। নিজের ইচ্ছামত তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকে আসেন, আবার নিজের ইচ্ছামত চলে যান বলে এলাকার অনেকেই জানান। প্রায় সময় তিনি ক্লিনিকে আসেন না। রোগীরা ডাক্তারের অপেক্ষায় বসে থেকে ফোন করলে উপজেলা বা অন্য কোথাও মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন বলে জানান ভুক্তভোগী রোগীরা।
লিপি আক্তার জানান, আমি গর্ভবতী। সকাল ৯টা থেকে ক্লিনিকে ডাক্তারের অপেক্ষায় বসে আছি।
জান্নাত বেগম জানান, আমার ছেলের ঠান্ডাজনিত সমস্যা। রান্না রাইখা সকাল থেকে এখানে এসে বইসা আছি।
পারুল বেগম জানান, আমি চর্মের সমস্যা নিয়া ক’দিন ধরে ভুগতাছি। তবে ডাক্তারের জন্য বইসা আছি।
কমিউনিটি ক্লিনিকে আসা কয়েকজন রোগী জানান, আমরা দূর থেকে পায়ে হেটে ক্লিনিকে এসেছি। এসে দেখি ক্লিনিক খোলা ডাক্তার নেই। আরও দুইদিন এসেছি তখনও ডাক্তার পাই নাই। সরকার গরিবের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্যে ক্লিনিক করছে। কিন্তু ডাক্তার ঠিকমত ক্লিনিকে আসেন না। যেদিন আসেন সেদিন তার ইচ্ছামত অফিসে মিটিং আছে বলে চলে যান। ঠিক মতো ঔষধ চাইলে দেন না।
মফিজ বেপারী, আলাউদ্দিন খানসহ প্রায় ৩০জন নারী, পুরুষ ও শিশু চিকিৎসকের অপেক্ষা করে বসে থাকলেও কেউ কেউ চিকিৎসাসেবা না পেয়ে বাড়িতে ফিরে চলে যান।
এই কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বরত ডাঃ ফিরোজের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি সকাল ৯টায় ক্লিনিকে এসেছি। তবে মাঝখানে একটু চা খেতে বাহিরে গিয়েছিলাম।
চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাজেদা পলিন এ বিষয়ে বলেন, তাদেরকে সবসময় তদারকি করা হয়। যেহেতু আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।