• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

জেলা প্রশাসকের সততা স্টোরে চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সহায়তা

প্রকাশ:  ১৬ এপ্রিল ২০২১, ১২:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 করোনাকালীন অসহায়দের মাঝে স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মুুখে জেলা প্রশাসকের উদ্যেগে স্থাপন করা হয় সততা স্টোর। গত বছরও করোনাকালীন জেলা প্রশাসকের উদ্যেগে এ কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমান সময়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ করোনার ভয়াবহতা রোধে চলমান লকডাউনের সময় তা আবার পুনরায় চালু করেন। এই সততা স্টোর থেকে অসহায় স্বল্প আয়ের মানুষজন বাজারমূল্যের চেয়ে কিছুটা কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী সংগ্রহ করতে পারায় সাধারণ মানুষ অনেকটা স্বস্তিবোধ করেন। তারা প্রশাসনের এই ব্যবস্থাকে সাধুবাদ জানান। সততা স্টোরের মানবতাবাদী এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সার্বক্ষণিক কাজ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।
প্রশাসনের জনকল্যাণমূলক এ ধরনের কাজের শুরুতেই সহায়তা করে আসছেন চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নেতৃবৃন্দ। সততা স্টোরের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের জন্যে গত ১৩ এপ্রিল বিকেলে চাঁদপুর চেম্বার কার্যালয়ে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। এ সময় সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন করেন চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ। তার সহায়তায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের সততা স্টোরের জন্যে ভর্তুকিমূল্যে চাল, ডাল, আটা, চিনি, মুড়ি, পেঁয়াজ, আলু, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করে দিতে রাজি হন এবং গত ১৪ এপ্রিল থেকে তা দেয়া শুরু করেন। সততা স্টোরের জন্যে এ সকল পণ্য সংগ্রহে সহায়তা প্রদান করেন চেম্বারের সচিব শেখ মোতালেব হোসেন টুটুল, চেম্বার কর্মচারী গোপাল চন্দ্র দাস, মোঃ মনির হোসেন ও মোঃ হাবিবুর রহমান।
জেলা প্রশাসনের এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে চেম্বার সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ বলেন, জেলা প্রশাসকের জনকল্যাণমুখী এই কার্যক্রমের জন্যে সাধারণ অসহায় মানুষ বেশ উপকৃত হচ্ছে। মানবতার যুদ্ধে আমাদের সকলের উচিত কিছু না কিছু সহায়তা করা। আমরা চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আমরা মানবতার কথা বিবেচনা রেখে ভর্তুকিমূল্যে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করতে চেষ্টা করছি। করোনাকালীন সময় যতোদিন লকডাউন থাকবে এবং যতোদিন জেলা প্রশাসক চাইবেন ততোদিন আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ সকল পণ্য সরবরাহে আন্তরিকভাবে সহায়তা করে যাবো। তিনি স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় মাস্ক ব্যবহারসহ সরকারের সকল আদেশ-নির্দেশ পালন করার জন্যে ব্যবসায়ীদের প্রতি আন্তরিক অনুরোধ জানান।

 

সর্বাধিক পঠিত