• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শাহরাস্তিতে প্রশাসনের নজরদারির মধ্যেও লকডাউনে দোকান খুলছে ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ:  ১৬ এপ্রিল ২০২১, ১২:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সারাদেশের ন্যায় শাহরাস্তিতেও চলছে কঠোর লকডাউন। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করে। লকডাউন যথাযথভাবে পালন করার জন্যে প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে। লকডাউনের প্রথমদিন বুধবার অনেক কঠোর ছিলো। সেদিন জনগণের মাঝেও লকডাউন পালন করতে দেখা যায়। কিন্তু লকডাউনের দ্বিতীয়দিন গতকাল শাহরাস্তি উপজেলার প্রাণকেন্দ্র মেহার কালীবাড়ি, ঠাকুর বাজার, শাহরাস্তি গেইট ও কালিয়াপাড়া বাজারে অনেক দোকান খোলা থাকতে দেখা যায়। দেখা গেছে যে, দোকানগুলোর অর্ধেক সার্টার খোলা রেখে বেচাকেনা করছে। এমনকি অতীব প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া যেমন সুতার দোকান, জুতার দোকান, লাইব্রেরি, ওয়ার্কশপ, স্টেশনারী, ফার্নিচারের দোকান খোলা থাকতে দেখা গেছে।
শাহরাস্তি উপজেলার প্রধান সড়কের দু’পাশের বাজারগুলোতে দোকান খোলা রেখে প্রকাশ্যে বেচাকেনা করায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মেহার কালীবাড়ির হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ বিল্লাল হোসেন লিটন কন্টিনেন্টাল পার্সেল সার্ভিসের সাইনবোর্ড লাগিয়ে ভেতরে ক্রোকারিজের মালামাল বিক্রয় করতে দেখা গেছে। দোকানের ছবি তুলতে গেলে তিনি উপ-সচিবের ধমক দেন। শাহরাস্তি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সার্টার অর্ধেক খোলা রেখে এভাবেই বেচাকেনা করে যাচ্ছেন দোকানদারগণ। যাদের স্থানীয়ভাবে দাপট রয়েছে যাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না, সেই সকল ব্যবসায়ী ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। এদিকে কিছু অসহায় নিরীহ ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা সরকারের ঘোষিত লকডাউন সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দোকান বন্ধ রেখেছেন। তাই মানবিক বিষয়টি বিবেচনা করে প্রশাসনকে এ বিষয়ে নজরদারি দেয়ার অনুরোধ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীগণ।
শাহরাস্তি উপজেলার ভেতরের সড়কগুলোতে যান চলাচল না করলেও শাহরাস্তি গেইট থেকে হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর, কচুয়া, মুদাফরগঞ্জসহ চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যাত্রী নিয়ে সিএনজি স্কুটার চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রধান সড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনোপ্রকার তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নানান অজুহাতে দু’একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চলাচল করতে দেখা যায়। তবে স্থাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে অনেকেই ছিল উদাসীন। যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন তাদের অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না। মসজিদগুলোতেও অনেকেই মাস্ক ছাড়াই প্রবেশ করেছেন।

 

সর্বাধিক পঠিত