• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

করোনায় চাঁদপুরে একদিনে তিনজনের মৃত্যু ছয়দিনে মারা গেলেন দশজন

প্রকাশ:  ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরে করোনার ভয়াবহতা এখন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। একদিনে অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন মারা গেছেন, আর ছয়দিনে মারা গেছেন দশজন। আক্রান্তের ধরন এমন যে, অনেককে হাসপাতালে নেয়ার সুযোগও পাচ্ছেন না স্বজনরা। কাউকে কোনোভাবে হাসপাতালে আনতে পারলেও চিকিৎসা দেয়ার সুযোগ হচ্ছে না। এর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আক্রান্ত ব্যক্তি। এমনই ভয়াবহ চিত্র দেখা গেলো গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুরে তিনটি মৃত্যুর ঘটনায়। তিনজনের দুইজন হাসপাতালে আনার সাথে সাথে এবং ঢাকা নেয়ার পথে মারা যান। আর আরেকজন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মাত্র তিন ঘণ্টার মাথায় মারা যান। নতুন এই তিনজনসহ চাঁদপুর জেলায় করোনার এক বছরে মোট মৃত্যুর সংখ্যা হচ্ছে ১০৩।


চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় এবং জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১২টা থেকে গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুরে করোনায় তিনজন মারা গেছেন। এরা হচ্ছেন সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের মজিবুর রহমান (৬৫), চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোড এলাকার সিরাজুল ইসলাম (৬৩) ও হাজীগঞ্জের প্রতাপপুর কাশিমাবাদ গ্রামের মোতাহার হোসেন (৭০)। এদের মধ্যে মজিবুর রহমান শনিবার সকাল নয়টার দিকে প্রচ- শ্বাসকষ্ট নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির পর তার নমুনা নেয়া হয়। তিন ঘন্টার মাথায় দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
সিরাজুল ইসলাম মারা যান গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে। গত ৮ জুলাই তার স্যাম্পল নেয়া হয় এবং ওইদিনই তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গতকাল তার অবস্থার অবনতি দেখলে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক তার অবস্থা দেখে তাকে ঢাকা রেফার করেন। ঢাকা নেয়ার জন্যে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে তুললে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান। আর হাজীগঞ্জের মোতাহার হোসেন মারা যান গতকাল ভোর পৌনে ছয়টায়। হাজীগঞ্জ গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান। তিনি গত ৬ এপ্রিল আক্রান্ত হন।

এদিকে গত ৬ এপ্রিল থেকে গতকাল ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছয়দিনে চাঁদপুরে করোনা রোগী মারা গেছেন দশজন। এই দশজনের কাউকেই হাসপাতালে কয়েক দিন রেখে চিকিৎসা সেবা দেয়ার সুযোগ হয়নি ডাক্তারদের। বলতে গেলে শেষ সময়েই তারা হাসপাতালে এসেছে। কেউ হাসপাতালে আসার সাথে সাথে, আবার কাউকে ঢাকা নেয়ার পথে, আবার কেউ হাসপাতালে ভর্তির কয়েক ঘণ্টা পর মারা গেছেন।