• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

নারায়ণপুর পৌরসভা ঘোষণা হওয়ায় সম্ভাব্য মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থীদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের হিড়িক

প্রকাশ:  ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৪নং নারায়ণপুর ইউনিয়নকে পৌরসভায় উন্নীত করার আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ১০ জানুয়ারি পৌরসভা ঘোষণা হওয়ায় এলাকায় সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক শুভেচ্ছা বিনিময় লক্ষ্য করা গেছে। ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থীগণ পোস্টার বানিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীগণ জনসেবার নানা পরিকল্পনাও গ্রহণ করছেন ভিন্ন ভিন্নভাবে। তবে সাধারণ মানুষ চায় তাদের জীবনযাত্রার উন্নয়ন, সার্বিক নিরাপত্তা, সুশাসন, জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণমূলক জবাবদিহিতা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও কৃষি উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশ।

নারায়ণপুর ইউনিয়ন পৌরসভায় উন্নীত হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষও বিষয়টি ভালোভাবে গ্রহণ করতে শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, প্রথম যখন পৌরসভা ঘোষণা করা হয় তখন কৃষক-শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ পক্ষে-বিপক্ষে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলো। কিন্তু দীর্ঘ সময় এই এলাকার মানুষ পদ্ধতিগতভাবে জনপ্রতিনিধির পরিবর্তন না পাওয়ায় এখন এটি ইউনিয়ন নাকি পৌরসভা তা নিয়ে আর ভাবে না। তারা এখন চায় গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নতুন প্রতিনিধি এবং সেবার নতুন দিগন্ত।

মতলব দক্ষিণের নারায়ণপুর ইউনিয়ন ও নারায়ণপুর পৌরসভা নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের দায়ের করা মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। নারায়ণপুর পৌরসভা বহাল রেখে উচ্চ আদালত গত ১০ জানুয়ারি রোববার পৌরসভার পক্ষে রায় ঘোষণা করেন।

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাঈমা হায়দার রাজিক আল দলিলের বেঞ্চে নারায়ণপুর ইউনিয়নের পক্ষে দায়ের করা মামলা খারিজ করে পৌরসভা বহাল রেখে এই রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার ও বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডঃ আশাদুর রউফ এবং পৌরসভার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডঃ তাশাদদুক হাসান।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নারায়ণপুর ইউনিয়নটিকে পৌরসভা ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ১৫ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নারায়ণপুর পৌরসভা গেজেট প্রকাশ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়। পরে পৌরসভার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল মোস্তফা তালুকদার।

উচ্চ আদালতের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে নারায়ণপুর পৌরসভার উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং বন্ধ হয়ে যায় নারায়ণপুর পৌরসভার কার্যক্রম। ২০১০ সালে পৌরসভার পক্ষে ৪নং নারায়ণপুর ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা আবু তাহের মিয়াজী, জিলন পাটোয়ারী ও জাকির মজুমদার সরকারের পক্ষ হয়ে উচ্চ আদালতে আরেকটি রিট আবেদন করেন। ওই রিটের আলোকে গত ১০ জানুয়ারি ২০২১ উচ্চ আদালত নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল মোস্তফা তালুকদারের রিট আবেদন খারিজ করে নারায়ণপুর পৌরসভা বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন।

সর্বাধিক পঠিত