• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

একজন লোক এতোটা ভুয়া হন কীভাবে!

প্রকাশ:  ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ১৩:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

তিনি মুক্তিযোদ্ধাও ভুয়া। জন্ম তারিখও তাঁর ভুয়া। অর্থাৎ ওনার জন্ম তারিখ দুইটা। জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী হয়েছেন জাল সার্টিফিকেট দিয়ে। একটি ব্যাংকের সভাপতি হয়েছেন তাও জাল সার্টিফিকেট দিয়ে। এভাবে আরো ভুয়া এবং জাল সনদের সমারোহ ওনার পুরো জীবনকে ঘিরে। এ যেনো ভুয়ার মহোৎসব। অথচ তিনি ভাব দেখান ওনার মতো স্বচ্ছ, সজ্জন ব্যক্তি নীল আকাশের নীচে সবুজের গালিচার উপর দ্বিতীয়জন আর কেউ নেই। তিনি আবার ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাও বটে। ইদানিং তাঁকে কোনো কোনো সভা বা অনুষ্ঠানে মিডিয়ার উপর ক্ষোভ ছাড়তেও দেখা যায়। অথচ যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। অবশ্য বেরসিক কিছু সংবাদপত্র সমপ্রতি ওনাকে নিয়ে যৌক্তিক কিছু সমালোচনামূলক সংবাদ পরিবেশন করেছে। এতেই বোধ হয় তিনি সংবাদপত্রের উপর ক্ষেপেছেন।

এই মানুষটির অরিজিনাল জন্ম সাল হচ্ছে ১৯৫৯। কিন্তু তিনি মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেয়ার জন্যে জন্ম সাল দেখালেন ১৯৫৬। এই ভুয়া জন্ম তারিখ দিয়েই তিনি জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে নিলেন। তাঁর সঠিক জন্ম তারিখ জানা যাবে নবম শ্রেণীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড অনুসন্ধান করলে। যদিও তিনি মাধ্যমিকের গ-ি পার হননি। কিন্তু তাতে কী হয়েছে! তিনি তো বিএ পাস সার্টিফিকেট দেখিয়ে জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী হিসেবে সরকারপ্রধান থেকে জাতীয় পুরস্কারও বাগিয়ে এনেছেন। এখানেই শেষ নয়। কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সভাপতি পদটিও দখল করে নিয়েছেন বিএ পাসের জাল সার্টিফিকেট দিয়ে। আর কোনো নির্বাচনে তাঁর মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয়টি তো এখন মানুষের মুখে মুখে। এভাবেই নানা অবৈধ পন্থায় তিনি অর্থ সম্পদের পাহাড়ও গড়েছেন।

এতোসব ভুয়ার সমারোহ দেখে মানুষ আড়ালে আবডালে বলছেন, একজন লোক এতোটা ভুয়া হন কীভাবে! এই মানুষগুলো প্রকাশ্যে বলতে পারছেন না তাঁর ক্ষমতার প্রভাবের কারণে।

সর্বাধিক পঠিত