• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

আকস্মিক অভিযানে চাঁদপুরের দু জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

লঞ্চঘাটে যাত্রী হয়রানি বন্ধে সতর্কতা

প্রকাশ:  ২৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৩৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রী হয়রানি বন্ধের বিষয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আকস্মিক এক অভিযান পরিচালনা করা হয়। গতকাল ২৭ ডিসেম্বর রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামাল হোসাইন, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত

কর্মকর্তা মোঃ নাসিম উদ্দীন, ওসি তদন্ত মোঃ হারুনুর রশীদসহ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামাল হোসাইন পন্টুনে অবস্থানরত বোগদাদিয়া-৭ লঞ্চের মালিক পক্ষকে ডেকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আপনারা যখন লঞ্চটি ঘাটে ভিড়াবেন তখন আপনাদের লঞ্চের মাইকে বলে দিবেন, যাতে করে যাত্রীরা সুন্দরভাবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, কেউ যাত্রীদেরকে নিয়ে কোনো প্রকার টানাটানি না করে। কোনো অবস্থাতেই যাত্রী হয়রানি করা যাবে না। এ বিষয়টি আপনাদেরও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এ সকল যাত্রী আপনাদের পরিবহনে আসা-যাওয়া করে।

এ সময় দু ম্যাজিস্ট্রেট আরো বলেন, ইতিমধ্যে লঞ্চের কেবিনে বেশক'টি লাশ পাওয়া বা হত্যার বিষয়ে আপনাদের নিশ্চয়ই জানা রয়েছে। তাই আমাদের অনুরোধ থাকবে, আপনারা কেবিন ভাড়া দেয়ার সময় বেশ কিছু তথ্য ভালো করে যাচাই করে নিবেন এবং সতর্কতার সাথে ভাড়া দিবেন। বিশেষ করে তরুণ তরুণীদের ক্ষেত্রে তাদের পরিচয়পত্র ব্যতীত ভাড়া দিবেন না। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে কিন্তু কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রয়োজনে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিবেন।

এরপর চাঁদপুর লঞ্চঘাট ইজারাদার মোঃ মালেক বেপারীেেক ডেকে এনে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, এ ধরনের ঘটনার রহস্য কী? কেনো ঘটছে, কারণ কী? তাই আজ প্রথম দিন সতর্ক করে দিয়ে গেলাম, আর যেন কোনো যাত্রী হয়রানির চিত্র মিডিয়াতে না আসে। যদি এমনটা আমরা দ্বিতীয়বার দেখি তাহলে আপনাকে তাৎক্ষণিক আটকসহ আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। শুধু তাই নয়, সকল শ্রমিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। জামিন হবে না। প্রত্যেকের নির্দিষ্ট পোশাকে তাদের নাম গেঁথে দিবেন।

তারপর তারা লঞ্চঘাটে অবস্থানরত সিএনজি অটোরিকশা ও ইজি বাইকের ড্রাইভার ও মালিক পক্ষকে ডেকে এক জায়গায় জড়ো করে এদের উদ্দেশ্যে কথা বলেন। আপনারা যারা এখানে অবস্থান করবেন, প্রত্যেকে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার রাখবেন, কোনো প্রকারে যাত্রীদের হয়রানি বা টানাটানি করে গাড়িতে তুলবেন না। যাত্রীরা তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী গাড়িতে উঠবে। এরপর পরিবহন মালিকদের নির্দেশ প্রদান করে বলেন, আমাদের এখানে ওসি সাহেব আছে, আপনারা সকল ড্রাইভারের ভোটার আইডি কার্ড তাঁর বরাবরে জমা দিবেন। আর আপানারাও ড্রাইভারদের নির্দিষ্ট পোশাক নির্ধারণ করে আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে এবং পোশাকে প্রত্যেক ড্রাইভারের নাম থাকবে। এ সময় পরিবহন মালিক পক্ষকে পোশাকের খরচের বিষয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসাইন ১ দিনের ভাড়া না নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন, যাতে ওই এক দিনের মালিকের ভাড়ার টাকায় পোশাক বানানো যায়। পোশাক তৈরির জন্য প্রয়োজনে দর্জির কাছে যেতে হবে না। দর্জি ঘাটে এনে পোশাক তৈরি করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান।

সর্বাধিক পঠিত