চাঁদপুরে ব্যাংকের গাড়ী চাপায় শিশু নিহত, প্রতিবাদে ব্যাংক ও চেম্বার অব কমার্স অফিস ভাংচুর

চাঁদপুর শহরের পুরাণ বাজার অগ্রণী ব্যাংকের ৩০লক্ষ টাকা পরিবহনের সময় দ্রুতগামী জিফ গাড়ীর চাপায় নিরব (৫) নামে শিশু নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনতা ক্ষুদ্ধ হয়ে গাড়ী এবং ব্যাংকের পুরানবাজার শ্রীরামদী শাখার দ্বিতীয় তলায় চেম্বার অব কমার্স অফিস ভাংচুর করে। পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে।

রোববার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে পুরানবাজার নতুন রাস্তার মধ্যবর্তী স্থানে এই র্দূঘটনা ঘটে। নিহত নিরব ওই এলাকার মোম ফ্যাক্টরীর বাসিন্দা মেছু উদ্দিন মাঝির ছেলে।

নিহত শিশুর মা নাজু বেগম জানান, প্রতিদিনই এই গাড়ীটি ব্যাংকের টাকা নিয়ে সড়ক দিয়ে যান। আজকে খুব দ্রুত গতীতে যাওয়ার সময় আমার সন্তান গাড়ীর নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শিশু গাড়ী চাপার খবর শুনে স্থানীয় জনতা ও ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে ব্যাংকের গাড়ীর গ্লাস ভাংচুর করে এবং চালকে খুঁজতে গিয়ে অগ্রণী ব্যাংক শ্রীরামদী শাখার ভবন অর্থাৎ চাঁদপুর চেম্বর অব কমার্স এ- ইন্ডাস্ট্রি ভবনের দ্বিতীয় তলার দু’টি গ্লাসসহ ব্যাপক ভাংচুর করে। একই সময় বিক্ষুব্ধ জনতা প্রায় ১ঘন্টা ওই সড়কটি অবরোধ করে রাখেন।

স্থানীয়রা আরো জানান, বিক্ষুব্ধ জনতা এ সময় চালক মনির হোসেন ও ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সুমন চন্দ্রকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে। এক পর্যায়ে চালক মনির জনতার রোশানল থেকে বাঁচতে ব্যাংকের ভিতরে অবস্থান নেয়। সে বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।

খবর পেয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আবদুর রহিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ¯িœগ্ধা সরকার, সদর মডেল থানার ওসি মো. নাসিম উদ্দিন ও পুরানবাজার পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানী জনতাকে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস দিয়ে উক্ত্যাক্ত পরিবেশ শান্ত করেন।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) কাজী আব্দুর রহিম জানান, পুরো ঘটনাটি আমরা সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। বর্তমানে এলাকা স্বাভাবিক রয়েছে।

 এ ব্যাপারে  চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. নাসিম উদ্দিন জানান,ঘটনার পরপরই চালককে আটক করে চাঁদপুর মডেল থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। নিহত শিশুর পরিবার এখনও মামলা দায়ের করেনি। মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।