• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

কোস্টগার্ডের অভিযানে বিপুল পরিমাণ সুতা ও কারেন্টজাল জব্দ

প্রকাশ:  ২৮ অক্টোবর ২০২০, ১৮:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

গতকাল মঙ্গলবার কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের নেতৃত্বে মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে ৩টি গ্রুপে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৫০ লাখ মিটার সুতার জাল ২টি ইঞ্জিন চালিত নৌযান ও ৫০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।


জানা যায়, গতকাল ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত এবং সোয়া ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কোস্টগার্ড স্টেশন চাঁদপুর এবং মৎস্য অধিদপ্তর যৌথ এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে চাঁদপুর মোহনা, লক্ষ্মীরচর, সফরমালীর চর, আনন্দবাজার, কাঁচিকাটা, আলুবাজার, হরিণা, দোকানঘর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় চালানো হয়। এ সময় নদীতে পাতানো অবস্থায় ৫৫ হাজার মিটার কারেন্টজাল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে স্টেশন কমান্ডার চাঁদপুর লেফটেন্যান্ট নাহিদ, (এঙ্), বিএন, কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মাইনুল, পিও(সিডি) এবং মৎস্য সমপ্রসারণ কর্মকর্তা আশিকুর রহামান উপস্থিতিতে জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়।

 


অপরদিকে আরেক গ্রুপ ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কোস্টগার্ড আউটপোস্ট ও মৎস্য অধিদপ্তর হাইমচর উপজেলা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার অহনঘাট, হরিণা, আলুবাজার, গাজীপুর, চর কাটাখালি এবং পাশবর্তী এলাকা থেকে নদীতে পাতানো অবস্থায় প্রায় ৫০ লাখ মিটার সুতার জাল ও জালের সাথে প্রায় ২০ কেজি মা ইলিশ এবং ১টি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকা জব্দ করে। জব্দকৃত জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। জব্দকৃত মাছ স্থানীয় গরিব এবং দুস্থ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোস্টগার্ড হাইমচরের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার শহীদুল, এমসিপিও (এঙ্), মৎস্য সমপ্রসারণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রমুখ।

আরেক গ্রুপ ভোর ৪টা থেকে বেলা ১১টা এবং সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালায়। এ সময় মেঘনা নদীর সাজুমোল্লার ঘাট, কাটাখালী, চন্দ্রাখাল, মাঝের চর এলাকা থেকে ৬০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ৩০ কেজি সমপরিমাণ মা ইলিশ এবং একটি ইঞ্জিন চালিত কাঠের নৌকা জব্দ করে। পরে উদ্ধারকৃত মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানায় বিলি করা হয়। জালগুলো পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং কাঠের নৌকাটি মৎস্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোস্টগার্ড চরজালিয়ার কন্টিনজেন্ট কমান্ডার লুৎফর রহমান, সিপিও, মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।

সর্বাধিক পঠিত