• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মা’ইলিশ নিধন চাঁদপুরে ১৫ জেলে আটক, ১০ জেলের কারাদন্ড ॥ দুই লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ

প্রকাশ:  ১৯ অক্টোবর ২০২০, ১৬:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর নৌ-সীমানায় প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচির তৃতীয় দিনেও  পদ্মা-মেঘনায় নৌ-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ১৫ জেলেকে আটক করেছে। এদের মধ্যে ইলিশ শিকারী ১০জন জেলেকে পৃথক মেয়াদে সাজা, ৫ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা ও ১জনকে ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে দক্ষিণের চরভৈরবী পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি দল মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালিত করে। এ সময় নৌ-পুলিশের একাধিক দলকে তাদের সঙ্গে দেখা যায়।

অভিযান কালে জেলার মতলব উত্তরে ৭ জন এবং হাইমচর থেকে আরো ২ জেলেকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদন্ড জরিমানা করা হয়। এদের মধ্যে হাইমচরে দুই জেলেকে দুই বছর, মতলব উত্তরে ৭ জেলেকে একমাস এবং একজনকে নগদ ৫ শ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া প্রায় দুই লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে এসব জাল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের আলু বাজার ফাঁড়ি পুলিশ অভিযান চালিয়ে মা ইলিশ শিকারী ৪ জেলেকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

আটক জেলেরা হচেছ, শরীয়তপুর জেলার সখিপুরের সিরাজ মিজির ছেলে মোঃ কালু মিজি (২১), একই জেলার জাহাঙ্গীর শেখের ছেলে মোঃ রাব্বি শেখ (২০), আলী হোসেন বাবুর্চীর ছেলে মোঃ জাফর ইসলাম (২০) ও ফারুক মিয়ার ছেলে মোঃ শাহাদাত (১৯)।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী জানান, মা ইলিশ সংরক্ষণে পালাক্রমে ১০টি দল দিনরাত নদীতে দায়িত্ব পালন করে যাচেছ।

অপরদিকে, জেলা টাস্কফোসের নির্দেশনায় শাহিন মাঝি (৩৫) নামের ১ অসাধু জেলেকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে জেলেকে নদী থেকে আটক হয়।

কোষ্টগার্ড চাঁদপুরের নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল হক জানান, চাঁদপুর কোস্টগার্ড, ফিসারি এবং নৌ পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা হয়। এ সময় মোহনা হতে শুরু করে আমিরাদ, লগ্গীমারারচর, কাঁচিকাটা, সুরেশ্বর, রাজরাজেশ্বর এলাকা সমূহে টহল দেওয়া হয়।

আটক শাহিন মতলব উত্তরের ছেঙ্গারচর বাজারের মিছির আলির ছেলে। এসময় তার কাছ থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত কাঠের নৌকা এবং ৫০ হাজর মিটার বেড়জাল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিদুজ্জামানের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্দেশনায় ওই জাল চাঁদপুর মোলহেডে এনে আগুনে পুড়ে ফেলা হয়। জব্দকৃত কাঠের নৌকাটি ফিসারির কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং আটককৃত জেলেকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ অক্টোবর থেকে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণে দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলার নদ-নদীতে সবধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। শুধু তাই নয়, এই সময় বিক্রয়, পরিবহন ও মজুদও নিষিদ্ধ থাকবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।

 

সর্বাধিক পঠিত