• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর নৌ-সীমানার ৯০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম পদ্মা-মেঘনা নদী এখন জেলে শূণ্য ॥ প্রতিদিন লোকারন্য ও কোলাহলরত প্রান চাঞ্চল্য কর্মব্যস্ত শত-শত আড়ৎ একেবারে ফাঁকা

প্রকাশ:  ১৫ অক্টোবর ২০২০, ১৬:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর নৌ-সীমানার ৯০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকার পদ্মা-মেঘনা নদী এখন জেলে শূণ্য  রয়েছে। প্রতিদিনের মানুষের লোকারন্য ও কোলাহলরত সে ব্যাপক প্রান চাঞ্চল্য কর্মব্যস্ত শত-শত আড়ৎ  ও শ্রমিকের কর্মব্যস্ত থাকা আড়ৎ গুলো গতকাল বুধবার একেবারে ফাঁকা ছিল।

ইলিশ প্রজনন রক্ষায় ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনায় সকল ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকারের সংশ্লিষ্ট। তাই চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদী এখন জেলে শূন্য রয়েছে। প্রায় ৯০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকা এখন টাস্কফোর্সের নজরদারিতে। মঙ্গলবার দিনগত রাত ১১টা পর্যন্ত চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাট ছিলো ইলিশ আর ক্রেতা-বিক্রেতায় লোকারণ্য অবস্থা। এখন সেই ব্যস্ততম আড়ৎ গুলো একেবারেই ফাঁকা অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শহরের বড় স্টেশন মোলহেড এলাকায় গিয়ে দেখাগেছে পদ্মা-মেঘনা নদীতে কোন জেলে নেই। বিশাল নদী এলাকায় শুধুমাত্র নদী পার হওয়ার ট্রলার ও কিছু লাইটার জাহাজ চলছে।

এদিকে মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টার পর থেকেই চাঁদপুর সদর, মতলব উত্তর ও হাইমচর উপজেলায় মেঘনা নদীতে উপজেলা টাস্কফোর্স অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃতে পৃথক টিম নদীতে টহলে রয়েছে। এ টিম নদীতে দিন ও রাত আলাদা ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবে।

শহরের যমুনা রোড, টিলাবাড়ী এলাকার জেলে রশিদ ও সাব্বির জানান, মা ইলিশের অভিযানের কারণে আমরা গতকালকেই নৌকা ডাঙায় উঠিয়ে রেখেছি। আগামী ২২ দিন মাছ ধরা থেকে বিরত থাকবো।


চাঁদপুর মাছঘাটের ব্যবসায়ী শামছুল আলম জানান, গত ২ মাস আমরা প্রচুর পরিমাণে ইলিশ বিক্রি করেছি। এখন ইলিশ প্রজননের কারণে আমাদের মাছ ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। পুরো আড়তই এখন মাছ শূন্য ও ফাঁকা রয়েছে। এ সময় সকলেই অলস সময় পার করবে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকি বলেন, ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য জেলা টাস্কফোর্স খৃবই কঠোর অবস্থানে আছেন। কোন অবস্থাতেই কোন জেলেকে নদীতে নামতে দেয়া হবে না। আমাদের টাস্কফোর্সের টিম সার্বক্ষনিক নদীতে থাকবে এবং কঠোর ভাবে কাজ করবে। মা’ইলিশের ডিম ছাড়ার সময় কোন জেলে নদীতে নামতে পারবেনা। জেলেদের নিয়ন্ত্রণ করতে মৎস্য বিভাগ থেকে প্রয়োজনে র‌্যাবের সহযোগিতা নিয়ে ব্যাপক অভিযান চালানো হবে।

 

সর্বাধিক পঠিত