• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

দোলা ফার্মেসীর চুরির ঘটনায় আটক ৪

প্রকাশ:  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি মোড় এলাকার দোলা ফার্মেসীতে চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনার সাথে জড়িত চোর চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করা হয়। চোরের দল দোকান থেকে ১৮ লাখ টাকার ঔষধ নিয়ে যায়।

আটককৃতদের বিষয়ে গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ বাহার মিয়া সাংবাদিকদের নিয়ে ব্রিফিং দেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানোনো হয়, গত ১০ আগস্ট দিবাগত রাতে এ ঘটনার পর দোলা ফার্মেসীর মালিক মোঃ দুদু মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে গত ১১ আগস্ট চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১৭। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় চাঁদপুর নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ বাহার মিয়াকে।

দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে তিনি ঘটনা উদ্ঘাটনে মরিয়া হয়ে উঠেন। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তিনি একটি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে মামলার তদন্তে এগিয়ে যান।

এক পযার্য়ে তিনি ঢাকায় অবস্থান নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল হোতাসহ চার জনকে আটক করতে সক্ষম হন। আটককৃতরা হলো জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার নান্দাইল গ্রামের নুরুল ইসলাম (২৭), ঢাকা আশুলিয়ার গোয়ারহাট মোল্লাবাড়ির সাইদুল বাশার (৪২), খিলগাঁও উত্তর গোড়ানের মোঃ রুবেল (৩০) ও মাদারিপুর কালকিনি থানার পশ্চিম মাইজাপাড়ার মোঃ শামিম মাতব্বর (৩২) ।

তিনি আরো জানান, কয়েকদিন চেষ্টার পর তিনি গত শুক্রবার দিনভর ঢাকার কয়েকটি থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে এ অভিযান সফল করে আটককৃতদের নিয়ে চাঁদপুরে আসেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ বাহার মিয়া আরো জানান, চাঁদপুর জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনায় সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোর চক্রের গতি বিধি পর্যবেক্ষণ করে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক চোর চক্রের সদস্যরা দোলা ফার্মেসীর উত্তর পাশের আবাসিক হোটেল শরিয়তপুরে অবস্থান করে। সেখানে অবস্থানকালে চুরির বিষয়টি রেকি করে। এরপর তাদের মিশন সফল করে তারা চলে যায়। শরিয়তপুর আবাসিক হোটেলে তারা যে মোবাইল নাম্বার লিপিবদ্ধ করে সেটি ছিলো ভুয়া নাম্বার। কিন্তু তারা একটি সঠিক নাম্বার হোটেলে থাকা অবস্থায় ব্যবহার করেছে। সেটি ট্রেকিং করেই মূলত চোর চক্র শনাক্ত শুরু করা হয়।

আটক চোর চক্রের সদস্যরা চুরির সময় কে কী দায়িত্ব পালন করেছে সেটিও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান। দোলা ফার্মেসীর ভেতর থেকে ঔষধ চুরি করে জয়পুরহাটের নুরুল ইসলাম। তাকে ও শামিম মাতব্বরকে কমলাপুর, সাইদুল বাশারকে আশুলিয়া ও রুবেলকে খিলগাঁও থেকে আটক করা হয়। তিনি আরো জানান, ঢাকার সদরঘাট এলাকায় গিয়ে জয়ন্ত ও মামুন নামের দুজনের মাধ্যমে তারা ঔষধগুলো মিটফোর্ড এলাকায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। সে টাকা নিজেরা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিয়ে যায়।

এ চুরির প্রাপ্ত টাকা থেকে কেউ মসজিদে দান করে, কেউ বিয়ে করে, আবার কেউ স্ত্রীর সিজারের কাজে লাগায় বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।

সর্বাধিক পঠিত